আপনি কি জানেন, প্রতিদিন পকেটে মোবাইল নিয়ে চলাফেরা করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হতে পারে,
📱 আপনি কি জানেন, প্রতিদিন পকেটে মোবাইল নিয়ে চলাফেরা করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হতে পারে,
যেমনটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে। এক ব্যক্তি আতঙ্কিতভাবে দেখাচ্ছে, তার পকেট থেকে মোবাইলের উজ্জ্বল লাল আলো ছড়িয়ে পড়ছে। এই দৃশ্য আমাদের কাছে একটি ভয়াবহ বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে ... অতিরিক্ত বিকিরণের কারণে
প্রশ্ন ১: পকেটে মোবাইল রাখার ফলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে? উত্তর: মোবাইল ফোন সর্বদা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (EMR) সরবরাহ করে। যখন এই ফোনটি পকেটে থাকে, বিশেষভাবে শরীরের খুব নিকটে, তখন সেই বিকিরণ শরীরের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে। এর ফলে হতে পারে: ১. প্রজনন সক্ষমতা কমে যাওয়া (পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণগত মানে প্রভাব প্রাপ্ত হয়) ত্বকের কোষে ক্ষতিকর পরিবর্তন ২. হার্টবিট বা স্নায়ুতন্ত্রে সামান্য যাতায়াতের পরিবর্তন ৩. দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
প্রশ্ন ২: ফোন থেকে রেডিয়েশন কীভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে?
যখন ফোনটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয় বা তথ্য আদান-প্রদান করে, তখন এটি মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ প্রেরণ করে এবং গ্রহণ করে। এই তরঙ্গ শরীরের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলস্বরূপ উষ্ণতা উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়া SAR (Specific Absorption Rate) নামকরণ করা হয়। ফোন যত বেশি সময় শরীরের সংস্পর্শে থাকে, SAR মান তত বেশি কার্যকর থাকে।
প্রশ্ন ৩: তাহলে কি মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত?
উত্তর:
না, তবে সচেতন হতে হবে। কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তন করে ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস করা সম্ভব।
১. ফোন পকেটে না রেখে ব্যাগ বা টেবিলে রাখুন।
২. কথা বলার সময় স্পিকার বা ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।
৩. ঘুমানোর সময় ফোন মাথার কাছে রাখবেন না।
৪. চার্জ করার সময় ফোন শরীরের কাছাকাছি রাখবেন না।
প্রশ্ন ৪: ছবিতে দেখানো ভয়াবহ দৃশ্য কি বাস্তবে ঘটতে পারে?
উত্তর:
ছবিটি বাস্তব যে নয়, বরং এটি একটি সচেতনতা তৈরির জন্য চিত্র। এটি ইঙ্গিত করে—মোবাইলের বিকিরণ যদিও অদৃশ্য, এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। বাস্তবে একদম এমন দৃশ্য দেখা না গেলেও, শরীরের কোষীয় ক্ষতি ধীরে ধীরে ঘটে, যা আমরা অনুভব করতে পারি না।
√ উপসংহার
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু সচেতনতার অভাব আমাদেরকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। তাই আজ থেকেই সতর্ক হন।
মোবাইল ব্যবহার করুন, কিন্তু শরীরের খুব কাছে নয়।
স্বাস্থ্যই সবার আগে!
